Ads Top

কফিতে একটা চুমুক

কফিতে আলতো একটা চুমুক দিল প্রিয়ন্তী..
-দেখেন.. একটা কথা আগেই বলে রাখি যে আমাকে আপনি যেভাবে পেতে চান সেভাবে পাবেন না..
কফি শপে বসে আছে প্রিয়ন্তী আর নিলয়.. প্রিয়ন্তীর কথা শুনে নিলয় বলল,
-মানে..?? বুঝলাম না..
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল প্রিয়ন্তী..
-কলেজ লাইফে আমার একটা রিলেশন ছিল..প্রায় ৩.৫ বছরের.. কিন্তু ভার্সিটিতে উঠার পর সে হঠাৎ করেই চেঞ্জড.. একদিন তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে ব্রেকাপ করে ফেলল.. আমার নাকি অনেক ছেলে ফ্রেন্ড..আসলে ও আমাকে ভালোবাসেনাই..ওর কাছে টাইম পাস ছিল ব্যাপারটা.
-এখনো ওকে ভালবাসেন.??
- হাঁ, খুব ভালবেসেছিলাম ওকে,খুব..
কিছুক্ষণ ভেবে নিলয় বলল, "দেখুন, আপনাকে আমার প্রথম দেখাতেই ভাল লেগেছে.. হয়তো আপনার জন্য অতীত ভুলে যাওয়া কঠিন তবে আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে.. সময় সবকিছুকেই বদলে দেয়.."
-ঠিক আছে.. আমার মা-বাবা যদি আপনার সাথে আমাকে বিয়ে দেয় আর আপনার আমার অতীত এর ব্যাপারে কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমার কোন প্রবলেম নাই..
পাঁচ বছর পর :
আজ প্রিয়ন্তীর ছেলে আয়ান এর ২য় বার্থডে.. বিয়ের পর কেটে যাওয়া গত পাঁচটি বছরের কথা ভেবে অবাক হয় প্রিয়ন্তী.. এত ভালোবাসে কেন নিলয় ওকে..?? বিনিময়ে এই পাঁচ বছরে প্রাণখোলা একটা হাসিও উপহার দিতে পারেনি সে মানুষটাকে.. মানুষটার যে ভালোবাসাটুকু প্রাপ্য সেটা বিন্দুমাত্রও দিতে পারেনি সে..আজ তাকে চমকে দিলে কেমন হয়..??
আলমারী থেকে একটা নীল শাড়ি বের করল প্রিয়ন্তী.. নীল শাড়ির প্রতি আলাদা একটা মুগ্ধতা আছে নিলয়ের..
অফিস থেকে বাসায় ফিরে নিলয় দেখে প্রিয়ন্তী নীল শাড়ি পরে আয়ান কে সাথে নিয়ে সোফায় বসে আছে..একটু বেশিই সুন্দর লাগছে আজ প্রিয়ন্তীকে.. মুগ্ধ দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইল নিলয়.. ক্ষণিকের ঘোরটা ভাঙ্গাল প্রিয়ন্তী..
-আজকে আয়ান এর বার্থডে, নিলয়..
-আমি জানি.. কিন্তু তুমি হঠাৎ এমন সাজগোজ করেছ কেন..??
-আজকে আমরা বাইরে ডিনার করব..
-কি ব্যাপার..?? আজকে সূর্য পশ্চিম দিকে উঠল নাকি?? যেই তোমাকে শতবার, হাজারবার রিকুয়েস্ট করার পর-ও বাইরে ঘুরতে যেতে রাজি হতে না, সেই তুমি আজকে নিজে থেকেই বাইরে ডিনার করার কথা বললে..
মুচকি একটা হাসি দিল প্রিয়ন্তী.. এই হাসির মাঝেই লুকিয়ে আছে দুনিয়ার সব কষ্ট ভুলে যাওয়ার এক অপার আনন্দ.. এই হাসিটার অপেক্ষাতেই এতদিন ছিল নিলয়.. আজ তার অপেক্ষার পালা ফুরোল.. 

No comments:

Powered by Blogger.